admin
- ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ / ১২৩ Time View
Reading Time: 2 minutes
বর্তমান অবৈধ আওয়ামী সরকারের ওপর জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নামা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারের সময় বেশি নেই। এ দেশের জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।
সোমবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখের বেশি মামলায় ৩৬ লাখের বেশি আসামি করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে মানববন্ধন কর্মসূচিতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীন দেশে এটা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা থাকতে চায়। তাই জনগণ আওয়াজ তুলেছে, এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ এ দেশে একটি গণ–অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে। কারণ, কোনো স্বৈরাচার সরকার কখনো আপসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। অতীত ইতিহাসও তা–ই বলে। এ প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, আইয়ুবের মতো স্বৈরাচারকে এ দেশের জনগণ গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করেছে। ছাত্র–জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদকে বিদায় করেছে। খুব সম্প্রতি শ্রীলঙ্কাতেও স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি। এ দেশের জনগণ বর্তমান সরকারের ওপর অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
তারাও রাস্তায় নামা শুরু করেছে। বিএনপির গণসমাবেশগুলো এর প্রমাণ। ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে যে গণমিছিল হয়েছে, এটাও তার একটা প্রমাণ। তাই এই সরকারের সময় আর বেশি নেই। তাদের সময় শেষ হয়ে আসছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, লুটপাট করে তারা অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। যারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তারা আর ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তাই তারা ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মামলার আসামি না হলেও তাঁদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালানো হয়েছে, যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। প্রায় সাড়ে চার শ নেতা–কর্মীকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে। তারা ঢাকাসহ সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারপরও গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক মো. ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে ড্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।